ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

দর্শণার্থীদের কাছে বিনোদন স্পটে পরিণত কক্সবাজার শিল্প ও বানিজ্য মেলা

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার ॥

কক্সবাজারে আগত দেশী-বিদেশী পর্যটক ছাড়াও স্থানীয়দের কাছে বিনোদন স্পটে পরিণত হয়েছে কক্সবাজার শিল্প ও বাণিজ্য মেলা। বিশ্বের দীঘতর্ম সমূদ্র সৈকতসহ বিভিন পর্যটন স্পটগুলোর পাশাপাশি বাড়তি স্থান করে নিয়েছে শিল্প ও বানিজ্য মেলার বিভিন্ন প্রর্দশনী। প্রতিদিন বিকাল থেকে দর্শণার্থীদের ঢল নামে এ মেলায়।

একদিকে ভ্রমণ পিপাসুর অন্যতম স্থান বিশ্বের সমুদ্র সৈকতসহ বিভিন্ন পর্যটক স্পট অন্যদিকে বাড়তি স্থান পেয়েছে শিল্প ও বানিজ্য মেলার নানা ধরণের বিনোদন। দিনের বেলায় সৈকতের বালিয়াডিসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ঘুরাঘুরির পরে সন্ধ্যার পর বানিজ্য মেলায় বিনোদনে মগ্ন রয়েছে স্থানীয় ও পর্যটকেরা।

কক্সবাজার বানিজ্য মেলার ও সমুদ্র সৈকত, বিপণী কেন্দ্রসহ জেলার পর্যটন স্পটগুলো পর্যটকদের কোলাহলে হয়ে ওঠেছে। রাস্তা-ঘাটে সৃষ্টি হচ্ছে মারাত্মক যানজট। ইতোমধ্যে সৈকতসহ বানিজ্য মেলায় বিভিন্ন প্রর্দশনী দেখার জন্য স্থানীয়দের সাথে সাথে পর্যটকের সমাগম ঘটেছে।

বানিজ্য মেলায় রয়েছে শিশুদেরও বিনোদনের জন্য মেট্রো ট্রেন,রাউন দোলনা, নৌকা দোলনাসহ বিভিন্ন ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থা। দেশি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের স্টল ও প্যাভিলিয়ন মিলে প্রায় ১০০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে মেলায়। এছাড়াও নাগরদোলা, স্পীড বোট, রেল, পানিতে বল ভাসানো, দোলনা, নৌকা বাইচ ও যাদু প্রর্দশনী। এবারের মেলায় স্টল রয়েছে ১০০টি সাধারণ স্টল ও ২টি ফুড স্টল। মেলায় অংশ নেয়া প্যাভিলিয়ন ও সাধারণ স্টলে রেডিমেড গার্মেন্টস, হোমটেক্স, ফেব্রিকস পণ্য, হস্তশিল্পজাত, আচারের স্টল, পাটজাত, গৃহস্থালি ও উপহারসামগ্রী, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, তৈজসপত্র, সিরামিক, প্লাস্টক, পলিমার পণ্য, কসমেটিকস হারবাল ও প্রসাধনী সামগ্রী, খাদ্য ও খাদ্যজাত পণ্য, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস সামগ্রী, ইমিটেশন ও জুয়েলারি ও ফার্নিচারসহ এসব স্টলও রয়েছে।

কক্সবাজার শিল্প ও বাণিজ্য মেলা আয়োজক কমিটির কো-চেয়ারম্যান সাহেদ আলী সাহেদ বলেন, মেলায় আগত স্থানীয় ও পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য প্রচুর পদক্ষেপ রয়েছে। নিরাপত্তার কোন ঘাটতি নেই। শিল্প ও বাণিজ্য মেলায় সার্বক্ষণিক নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পোশাকধারী পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকের গোয়েন্দা পুলিশ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে মেলাস্থলে সব ধরনের হকার ও ভিক্ষুক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফুডকোটে অনিয়ম রুখতে বাধ্যতামূলক মূল্য তালিকা রাখা হয়েছে। এছাড়া, ইভটিজিং রোধে মেলায় পুলিশের বিশেষ টিম দায়িত্ব পালন করছেন। সিসিটিভি ক্যামরায় নিয়ন্ত্রণ রয়েছে পুরো মেলাঙ্গন।

এছাড়া বাণিজ্যমেলায় দেশী ছাড়াও বেশি বেশি বিদেশি ক্রেতা ও পর্যটক অংশ নেয়ায় এটাই আমাদের প্রত্যাশা । এরজন্য যা কিছু করণীয় বাণিজ্য মেলা আয়োজক কমিটি সব করছে।

ঢাকা থেকে আসা জিয়ন দম্পত্তি বলেন, গত বছর কক্সবাজারে আসা হয়নি। তাই এবার আসা হয়েছে। সমুদ্র সৈকত ছাড়াও বাড়তি আনন্দের স্থান বানিজ্য মেলা পেয়ে খুব ভালো লাগছে।

নিরাপত্তার বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. খায়রজ্জামান বলেন, বাণিজ্য মেলাকে ঘিরে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুরো মেলা প্রাঙ্গনে রয়েছে সিসি ক্যামরা। এছাড়াও মেলায় ইভটিজিং সহ যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে থাকছেন পুলিশের বিশেষ টিম। সাদা পোশাক ধারী পুলিশ ও বীচে ট্যুরিস্ট পুলিশ বেশ সক্রিয় রয়েছে বলে জানান তিনি।

পাঠকের মতামত: